এদিন অস্ট্রেলিয়া মাঠে নেমেছিল একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে, কৌশলেও ছিল স্পষ্ট পরিবর্তন। ওপেনিংয়েই স্পিনার এনেছিলেন অধিনায়ক ওয়েড। বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকার ফিরে গিয়েছিলেন দলীয় মাত্র ৩ রানের মাথায়। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ৪৪ রানের জুটি সে চাপ সামাল দিলেও সাকিব ফিরেছিলেন অসময়ে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পূর্তির দিন ১৭ বলে ২৬ রান করে ফিরেছেন তিনি।

এরপর আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসানের রান-আউট, মাঝে শামীম হোসেনের উইকেট চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের ওপর। আফিফ ও নুরুল ঝোড়ো শুরু করেছিলেন, তবে দুজনকেই ফিরতে হয়েছে সরাসরি থ্রো-তে। শামীম পিষ্ট হয়েছিলেন শুরুতেই ডট বলের চাপে। অন্যদিকে অবশ্য টিকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ৩৮ বলে ৩০ রান করলেও ফিফটিতে গিয়েছিলেন ৫২ বলে। তবে শুধু তাঁর নয়, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশেরই মন্থরতম ফিফটি সেটি।
তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়কের ওই ফিফটিতেই ১২৭ পর্যন্ত গিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে অবশ্য হয়েছে ইতিহাসও। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক পাওয়া প্রথম বোলার হয়ে গেছেন নাথান এলিস, মাহমুদউল্লাহর পর মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামের উইকেট নিয়ে।
রান তাড়ায় অন্তত প্রথম ওভারটা তুলনামূলক বেশ ইতিবাচকই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। বেন ম্যাকডারমটের সঙ্গে এসেছিলেন ম্যাথু ওয়েড। মেহেদীর প্রথম ওভারে ৮ রান তুলেছিলেন ম্যাকডারমট। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারেই নাসুম আহমেদ ফিরিয়েছেন ওয়েডকে, আরেকবার লেগ সাইডের বলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।

মার্শ ও ম্যাকডারমট এরপর গড়েছেন ৬৩ রানের জুটি। সে জুটি ভেঙেছেন সাকিব। এর আগেই শরীফুলের হাতে জীবন পাওয়া ম্যাকডারমট ফিরেছেন ৩৫ রান করে। পরের ওভারে শরীফুল এসে ফিরিয়েছেন ময়েজেস হেনরিকেসকে। তবে ইনিংসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা শরীফুল নিয়েছেন ইনিংসের ১৮তম ওভারে। মার্শ তাঁর বলে ক্যাচ তুলেছেন ৪৭ বলে ৫১ রান করার পর।
ততক্ষণে রান ও বলের ব্যবধান বেড়ে গেছে বেশ খানিকটা। এর ওপর মোস্তাফিজুর রহমান ১৯তম ওভারে এসে দিয়েছেন মাত্র ১ রান! ৪ ওভারে ৯ রান নিয়ে বোলিং শেষ করেছেন এই বাঁহাতি পেসার। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। প্রথম বলেই মেহেদী হাসানকে ছয় মেরেছিলেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান, আর চতুর্থ বলে লেংথে গড়বড় করে ফুলটসে একটা নো-ও করেছিলেন মেহেদী হাসান। তবে ১১ রানের বেশি দেননি। বাংলাদেশও তাতে পেয়েছে ঐতিহাসিক জয়।
Leave a Reply