আফগানিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস সমদূরবর্তী মিশন হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ করে থাকে। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ২৭ জন বাংলাদেশির আটকে পড়ার খবর জেনেছি। তাঁদের মধ্যে কাবুলে আছেন ১৮ জন। ওই ১৮ জনের মধ্যে আফগান ওয়্যারলেসে কর্মরত ৭ প্রকৌশলী, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ৬ কর্মকর্তা, জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠানের ২ কর্মকর্তা, আফগান সুয়ারেজে কর্মরত ২ জন ও কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া ১ বাংলাদেশি রয়েছেন। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী জালালাবাদ শহরে রয়েছেন তাবলিগ জামাতের ছয়জন কর্মী এবং মাজার-ই-শরিফে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক বাংলাদেশি রয়েছেন। বাকি দুই বাংলাদেশি তালেবান ক্ষমতা দখলের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে পড়েন। তবে তাঁদের সবশেষ অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জার্মান কোম্পানিতে কর্মরত দুই বাংলাদেশি উজবেকিস্তানের দূতাবাসে যোগাযোগ করে জানান, জার্মান সরকার একটি বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে, যা তাসখন্দ হয়ে অন্য দেশে যাবে। যদি উজবেক সরকার ওই বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়, তবে তাঁরা ওই প্লেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, উজবেকিস্তানের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টারকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ট্রানজিট ভিসার অনুরোধ জানালে দেশটি রাজি হয়েছে। এর মধ্যেই জার্মান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই বাংলাদেশির জন্য উজবেকিস্তানের ভিসা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশিরা উজবেকিস্তান হয়ে দেশে ফিরতে চাইলে কোনো ভিসা জটিলতায় পড়বেন না।
এদিকে কাবুলে অবস্থানরত বিদেশিরা এরই মধ্যে তাঁদের দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে বাকি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। বিশেষ করে, সেখানকার নিরাপত্তা নিয়েও তাঁরা উদ্বিগ্ন।
আফগান ওয়্যারলেসের যেসব কর্মী এখনো কাবুলে আটকা পড়েছেন, রাজীব বিন ইসলাম তাঁদের অন্যতম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজীব প্রথম আলোকে বলেন, গত মঙ্গলবার একটি ফ্লাইটে তাঁদের কাবুল ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই ফ্লাইটে তাঁদের ফেরা হয়নি। এখন তাঁরা ফেরার বিষয়ে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন।
Leave a Reply