রাজশাহী মেডিক্যালের করোনা ওয়ার্ডে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর ১১ জন, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪জন করে ৮ জন, নাটোরে ২জন এবং নওগাঁয় ১ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
বরিশাল বিভাগে করোনায় ২০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে ২ জন করে ৬ জন এবং পটুয়াখালীতে ১ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে, খুলনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। কুষ্টিয়ায় করোনায় ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া, সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহে করোনায় ২০ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। শেরপুরে মারা গেছেন একজন। চট্টগ্রামে আবারো করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ৪৫১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় মৃত্যুর হার শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়ার পর অনেকটাই কমে এসেছিলো সে হার। তবে, দেশে করোনায় ২য় ঢেউয়ে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ হার ও মৃতের সংখ্যা।
এদিকে, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তা প্রতিরোধে ১লা জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ৫ জুলাই আরেক দফায় চলমান কঠোর বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৪ই জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসময় জরুরি পন্য পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকে। এরপর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে গত ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।
Leave a Reply