গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি কারখানায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণে ১৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
কাশিমপুরের দক্ষিণ জরুন এলাকার মন্ডল গ্রুপের কটন ক্লাব কারখানায় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ক্লিনার ৬০ বছর বয়সী ফজলুর, সুপারভাইজার ৩৫ বছরের সবুর, লাইন ম্যানেজার ৪৪ বছরের সাহাবুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী ৪৫ বছরের চাঁন মিয়া, কাটিং মাস্টার ২৭ বছরের আসলাম আলী, পথচারী ৫০ বছরের মো. সোহেল, নিরাপত্তা প্রহরী ২৪ বছরের সোহের রানা ও ৩০ বছরের আলমগীর।
এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৩২ বছরের তৌসিফ, ২২ বছরের আরিফ, ৩৫ বছরের আবুল হোসেন , ৪০ বছরের রাকিব, ৩০ বছরের রাশেদ, ৩২ বছরের রফিকুল ও ৩৫ বছরের বাবুল। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই কারখানার একটি কক্ষে গ্যাস লাইনের রাইজার ছিল। পাশেই নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ। গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ থেকে কারখানার কয়েকজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ, তাই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা শরিফুল ইসলাম জানান, মন্ডল গ্রুপের ওই কারখানার গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগেছে।
কটন ক্লাব কারখানার জিএম অপারেশনস প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, রুটিনমাফিক পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে কারখানাটি বন্ধ ছিল। এ ছাড়াও আশপাশের সমস্ত কারখানা বন্ধ থাকায় মেইন লাইনে গ্যাসের অতিরিক্ত প্রেসারের কারণে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আরএমএস রুমে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানার ১৬ জন শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন। তাদেরকে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কারখানার মেকানিক্যাল ইনচার্জ মুক্তার হোসেন বলেন, ‘সাধারণত কারখানায় ১০ পিএসআই গ্যাসের চাপ থাকে। তবে আজ অধিকাংশ কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাসের চাপ বাড়তি ছিল। এজন্য কারখানার মেইনটেন্যান্স টিমের কয়েকজন মিলে কারখানার গ্যাসের সরবরাহ লাইনের মেইন গেইট বাল্ব বন্ধ করতে যাই। এর ভেতরেই দুর্ঘটনা ঘটে।
‘এ সময় আরএমএস রুম থেকে আগুনের ফুলকি দেখতে পাই। পরে দেয়াল ভেঙে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আর তাৎক্ষণিক মেইন গেইট বাল্বটি বন্ধ করতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাই। পরবর্তীতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে। আপাতত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’
Leave a Reply