শনিবার খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল আসে বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছে এবং পোস্ট করোনার চিকিৎসা চলছে।
ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখন তার পোস্ট কোভিড এবং অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা চলছে বলে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
রোববার একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে বলেছেন,”আশার কথা হচ্ছে, শী ইজ শোয়িং এ সাইন অব প্রোগ্রেস, যদিও এখনো তাকে বিভিন্ন রকম চিকিৎসাগত যে পদ্ধতিগুলো, সেগুলো একেবারে সিসিইউ ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব না। সেগুলো যা যা করা দরকার তারা (চিকিৎসকরা) সব কিছুই সেখানে (হাসপাতালে) করছেন।”
”তার কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তার এবং তার যে সমস্ত সমস্যা মূলত দেখা গিয়েছিল, সেই সমস্যাগুলো ক্রমান্নয়ে উন্নতির দিকে আসছে। কিন্তু এখনো তার যে মূল সমস্যাগুলো আছে, আপনারা জানেন তিনি অনেকগুলো অসুখে ভুগছেন দীর্ঘকাল থেকে এবং দীর্ঘকাল কারাভোগ করার কারণে কোন চিকিৎসা না হওয়ার কারণে সেগুলো বেড়েছে,এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এই বয়সে তার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এ কারণে মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিকভাবে তার দিকে লক্ষ্য রাখছেন বলে তিনি জানান। চিকিৎসকরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন বলে তিনি জানান।
গত ১১ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
গত ২৭শে এপ্রিল পরীক্ষার জন্য তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এখনো তিনি সিসিইউতেই আছেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস বা আর্থরাইটিসসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখন ডায়াবেটিসের কারণেও তার অন্য চিকিৎসায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবে
খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার পাঁচই মে বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
শামীম ইস্কান্দার বলেছেন, ডাক্তাররা তার বোন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয়ার পর তারা সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই আবেদনটিকে সরকার ইতিবাচকভাবেই দেখছে।
এর আগে যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে মিসেস জিয়াকে বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন মিসেস জিয়া।
এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
Leave a Reply