1. admin@ukbanglanews.com : UK Bangla News : Tofazzal Farazi
  2. tuhinf24@gmail.com : Firoj Sabhe Tuhin : Firoj Sabhe Tuhin
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন হাসপাতালে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১
  • ৫৩ বার

হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. তাজউদ্দীন জানান, সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৭। তাঁদের মধ্যে এইচডিইউ শয্যায় আছেন দুজন, আইসিইউ শয্যায় আছেন আটজন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। আর জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫৭ জনের। মারা গেছেন সাতজন।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবিরন নেছার জ্বর, ঠান্ডা, কাশি দেখা দেয় তিন–চার দিন ধরে। রোববার রাত থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ছেলে তোফাজ্জল হোসেন মাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে এনে বহির্বিভাগে অপেক্ষা করছিলেন। মা সারিরন নেছা একটি অটোরিকশায় বসা ছিলেন।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে কথা বলেছি। কিন্তু কোনো শয্যা নাকি খালি নেই। আর কিছুক্ষণ চেষ্টা করব। শয্যা না পেলে অন্য কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাব।’

তোফাজ্জলদের মতো আরও অনেকেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে করোনা রোগী নিয়ে ভিড় করছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি ৫০০ শয্যার। সব সময় রোগীদের ভিড় লেগেই থাকে। গাজীপুরের হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা এই হাসপাতালেই হয়ে থাকে। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই সময় করোনা রোগীর সংখ্যা কম হলেও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ ছিল।

পরবর্তীকালে করোনা রোগী কমে গেলে আবার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়। বর্তমানে হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড না হলেও সরকারি সিদ্ধান্তে হাসপাতালের ৩টি ফ্লোরে ১০০ শয্যায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত শয্যা দিয়ে ১২৭ জনের চিকিৎসা চলছে। এখন নতুন রোগী এলে মেঝে ছাড়া জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং প্যাথলজি বিভাগের সামনের রোগী ও স্বজনদের ভিড়। চিকিৎসক দেখানোর জন্য এবং বিভিন্ন পরীক্ষার স্লিপের জন্য নির্ধারিত স্থানে রোগীর স্বজনেরা ধাক্কাধাক্কি করছেন। সেখানে দুজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও তাঁদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। হাসপাতালের ভেতরে রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বালাই নেই বললেই চলে। অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।

হাসপাতালের নিচতলায় বসার স্থানে কথা হয় মো. মোরসালিন নামের এক স্বজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে বড় ভাইকে এখানে করোনা ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছেন, ভালো আছেন। করোনা ইউনিটে যাওয়া নিষেধ, তাই বাইরে বসে ভাইয়ের খবর নিচ্ছি।’

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুরে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আক্রান্তের হার নমুনা পরীক্ষার ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৬ হাজার ৭৪০ জন। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৬ জনে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া সব শেষ তথ্যমতে, লকডাউনের মধ্যেই গত তিন দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ২৫ জুলাই ৩৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৮ জনের। শনাক্তের হার ছিল ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ২৪ জুলাই ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৬৯ জনের এবং মারা যান একজন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২৩ জুলাই ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৪৮ জনের। মারা যান পাঁচজন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. হাফিজ উদ্দিন জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন, তাঁদের প্রায় সবাই গুরুতর অবস্থায় আসেন। তাই সবার জন্যই অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। শয্যার সঙ্গে অক্সিজেন না থাকলে করোনা রোগীর মৃত্যুঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। তাঁদের হাসপাতালের ৬ হাজার লিটার গ্যাস মজুত রাখার সক্ষমতা থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2023 UK বাংলা News
Design & Developed By SSD Networks Limited
error: Content is protected !!