ব্যানআরডিবি বা তড়িৎ মোতায়েনযোগ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ব্যাটালিয়নটির সাফল্যও প্রায় শতভাগ। বছরের বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘ কাজের মূল্যায়ন বা যে মানদণ্ড তৈরি করে তাতেও সর্বোচ্চ নম্বরের রেকর্ড বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই কন্টিনজেন্টের। কঙ্গো থেকে ফিরে মাসুদ কার্জন জানাচ্ছেন বিস্তারিত।
সংঘাতপূর্ণ কঙ্গোতে বিবদমান নানা গ্রুপের হানাহানি বা হামলার এরকম খবর মাঝে মধ্যেই আসে। অনেক চ্যালেঞ্জ-তবে সময় মাত্র পনের মিনিট। ঘটনাস্থল বা প্রতিপক্ষ কিংবা তাদের কৌশল সম্পর্কে ধারণা নেয়া।
অপারেশনাল ফোর্সের প্রস্তুতি-রওনা হওয়ার আগে ঘটনা সম্পর্কে অবহিতকরণ। প্রতিটি কাজের জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট সময়। সবশেষে দুর্গম অঞ্চলে দুঃসাহসিক অপারেশন যাত্রা।
প্রতিমুহূর্তের এমন নানা চ্যালেঞ্জ উতরে সফলভাবে শান্তিরক্ষায় কাজ করছে দেশটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের ব্যান আরডিবি বা তরিৎ মোতায়েনযোগ্য ব্যাটালিয়ন। নেতৃত্ব দিচ্ছে সম্বুখ সমরের।
ব্যান আরডিবি-৪ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল ফারুক হাওলাদার জানান,’তড়িত মোতায়েন যোগ্য কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। নরমাল কন্টিনজেন্ট থেকে এটা আলাদা। আমরা অতিদ্রুত, এমনকি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে স্পটে পৌঁছি।’
কঙ্গো নর্দান সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,’বাংলাদেশের যে আরডিবি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ৩০টির অধিক বাহিনীর সাথে আমাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে। প্রতিবারই তারা আমাদেরকে আক্রমণ করতে চেয়েছে। তবে আমাদের অত্যন্ত দৃঢ কার্যক্রমের জন্য তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’
আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ১৬ গুন দেশটিতে আরেক চ্যালেঞ্জ দুর্গম পাহাড়ি পথ। র্যাপিড ডেপ্লয়েবল বা তড়িৎ মোতায়েনযোগ্য ব্যাটালিয়ন। যার প্রধান চ্যালেঞ্জ খবরের সঙ্গে সঙ্গে যেকোন দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো। আর অপারেশনাল ও কার্যকর ভুমিকাসহ নানান দিক বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর যে মানদণ্ড তৈরি হয়- ব্যান আরডিবি এবার একশো থেকে পেয়েছে ৯৮ নম্বরেরও বেশী।
দূরবর্তী বা রিমোট অঞ্চলগুলোতে যেতে বা অপারেশনে সহায়তা নেয়া হয় দেশটিতে মোতায়েন থাকা ব্যানএয়ার অথবা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কন্টিজেনটেন্টের। ব্যান এয়ার -১৮ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পিএসসি বিইউপি গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মেহবুব খান বলেন,’যদি আমি যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলি, যোগাযোগ ব্যবস্থা যে রকম অপ্রতুল, ঠিক তেমনি নিরাপত্তা নাই।’
ব্যান এয়ার -১৮ পাইলট ইন কমান্ড উইং কমান্ডার শেখ শফিকুল ইসলাম জানান,’আমাদের ট্রুপস এবং পাইলটরা সব সময়, সব অবস্থাতেই রেডি থাকে। যে কোন ইমার্জেন্সির জন্য আমরা সব সময় রেডি থাকি।’
কঙ্গোতে ২০০৩ সাল থেকে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। আর ব্যান আরডিবি বা রেপিডলি ডেপ্লয়েবল ব্যাটালিয়ন সেখানে শান্তিরক্ষার কাজ শুরু করে ২০১৮ সালে।
Leave a Reply