বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ফ্লাইটে রাত ১০টায় প্রথম, রাত ১টায় দ্বিতীয় ও রাত ৩টায় তৃতীয় চালানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
প্রত্যেক ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ করে টিকা এসেছে। বিমানবন্দর থেকে এসব টিকা প্রথমে ঢাকার ইপিআই সংরক্ষণাগারে মজুত রাখা হয়েছে।
ইপিআই বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন এলাকা বাদ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হবে এসব টিকা। এ নিয়ে দেশে সিনোফার্মের ৭০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।
সিনোফার্ম থেকে আরও ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এদিকে, করোনা টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর করেছে সরকার।
গত ১২ই মে প্রথমবারের মতো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা দেশে আসে। সেই টিকাগুলো চীন সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। ১৯শে মে সরকার চীনের সিনোফার্মের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়। এরপর কয়েক ধাপে চীন থেকে কেনা এবং উপহারের টিকা আসে।
দেশে সরকার গণটিকাদানের যে কর্মসূচি শুরু করেছে, তার একটি বড় অংশে এসব টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, ৮ই মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর তা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশও।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১শে মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।
Leave a Reply