এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকের সাবেক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অন্য কোনো কর্মকর্তা (নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন না। ব্যাংক কোম্পানি আইনের এই ধারা পরিপালন করতে গিয়ে সম্প্রতি কয়েকজন এমডিকে পরিচালক পদ থেকে বাদ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরপেক্ষতা, পেশাগত মান ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১৫ (৯) ধারায় ব্যাংক-কোম্পানির সঙ্গে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
আইনের এই বিধান অনুযায়ী ব্যাংক-কোম্পানির সাবেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অন্য কোনো কর্মকর্তা (নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন না।
আরও বলা হয়, ‘সুশাসনের স্বার্থে ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকের কোনো সাবেক পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা অন্য কোনো কর্মকর্তা অবসর বা অব্যাহতি বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর একই ব্যাংকের উপদেষ্টা বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন বলে নির্দেশনা রয়েছে।’
অনেক কর্মকর্তা চাকরিরত অবস্থায় ব্যাংকের পরিচালকদের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যাচ্ছেন, যাতে পেশাদারি থাকছে না। তাঁরাই অবসরের পর দ্রুত ওই ব্যাংকে পরিচালক বা উপদেষ্টা হয়ে যাচ্ছেন।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ১৫ (৯) ধারার উদ্দেশ্য পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরপেক্ষতা, পেশাগত মান ও সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকের পরিচালক, চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা বা পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন থেকে নতুন নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক কর্মকর্তা চাকরিরত অবস্থায় ব্যাংকের পরিচালকদের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যাচ্ছেন, যাতে পেশাদারি থাকছে না। তাঁরাই অবসরের পর দ্রুত ওই ব্যাংকে পরিচালক বা উপদেষ্টা হয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব মালিকের একাধিক ব্যাংক আছে, তাঁরা এতে সুবিধা পাবেন।
Leave a Reply