২০১৮ সাল থেকে এমন তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শুরু থেকে শীর্ষস্থান বরাবরই ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপগুলোর দখলে। ২০২০ সালের তালিকায় টিকটকের পরে আছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক মেসেঞ্জার। আর ২০১৯ সালের তালিকায় শীর্ষ পাঁচটি অ্যাপ হলো ফেসবুক মেসেঞ্জার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সে চেষ্টায় অ্যাপটির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড বন্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি ছিল, টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্যে চীনা সরকারের নজরদারি থাকায় তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা–হুমকি। প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য বারবার সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
এশিয়ায় (চীন ব্যতীত) সর্বাধিকবার নামানো ১০ অ্যাপ
অ্যাপ | ক্রম (২০২০) | ক্রম (২০১৯) |
---|---|---|
ফেসবুক | ১ | ১ |
টিকটক | ২ | ২ |
হোয়াটসঅ্যাপ | ৩ | ৪ |
ইনস্টাগ্রাম | ৪ | ৬ |
ফেসবুক মেসেঞ্জার | ৫ | ৩ |
স্ন্যাক ভিডিও | ৬ | তথ্য নেই |
টেলিগ্রাম | ৭ | ১৫ |
স্ন্যাপচ্যাট | ৮ | ১২ |
ট্রুকলার | ৯ | ১০ |
লাইকি | ১০ | ৫ |
সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বলা হয়েছিল, বাইটডান্স তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিক। সেটা হতে পারে ওরাকল বা ওয়ালমার্ট। প্রস্তাবটি ট্রাম্পের কাছ থেকে সবুজসংকেত পেলেও চীন সরকারের অনুমোদন পায়নি।
এদিকে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের সেই নির্বাহী আদেশ প্রত্যাহার করেন। এরপর নতুন নতুন সুবিধা দিয়ে ব্যবহারকারীদের নিয়মিত আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে টিকটক। গত সপ্তাহে স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের স্টোরিজের মতো সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। টিকটকের স্টোরিজেও যথারীতি কোনো পোস্ট ২৪ ঘণ্টা পর আপনা–আপনি মুছে যাবে।
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি বা ভিডিও দেখামাত্র মুছে যাওয়ার সুবিধা আনে ফেসবুকের মালিকানাধীন বার্তা আদান–প্রদানের প্ল্যাটফর্মটি।
Leave a Reply