ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল সিরিলিতো সোবেজানা বলেন, রোববার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুলু প্রদেশের জোলো শহরের কাছে সামরিক বাহিনীর ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কাগায়ান দে ওরো এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও যাচ্ছিল বিমানটি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটিতে ৯০ জনের বেশি আরোহী ছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন বেসামরিক লোক। চারজন বেসামরিক লোকও আহত হয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধ্বস্ত বিমানটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে বিমানটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গাছগাছালি পরিবেষ্টিত একটি স্থানে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে কিছু ভবনও দেখা যায়।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। ফিলিপাইনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেনার্দ মারিয়ানো বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। তবে আমরা এখন উদ্ধারকাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
প্রতিরক্ষা বাহিনী সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আবু সায়াফের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিমানটিতে করে অতিরিক্ত সেনাসদস্য পাঠানো হচ্ছিল।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, বিমানে হামলা চালানোর কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজ শেষে হলে এ ঘটনায় তদন্তকাজ শুরু হবে।
বার্তা সংস্থার খবরে উল্লেখ করা হয়, বিমানটির আরোহীদের অনেকেই সম্প্রতি সেনাবাহিনীর বনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
Leave a Reply