বিভিন্ন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ব্রিজের পশ্চিম পাশের মানুষকে টিসিবির চাল কিনতেও এ পারে আসতে দেখা গেছে। এর বাইরে জমির ব্যবসা পরিচালনার কথা বলেও আসছেন অনেকে।
জরুরি সেবার যান বাদে অন্যান্য যান চলাচল ও কার্যক্রমে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সড়কে আজও অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়, যা চলে ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু পৌনে একটার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ এদিক–সেদিক ঘোরাফেরা করছে।
এই অভিযানে অন্তত ২৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া চলাচলের যৌক্তিক ও জরুরি কারণ দেখাতে না পারায় অনেককে জরিমানাও করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি, তাঁদের অপরাধের মাত্রা বুঝে জরিমানা ও আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। তবে কতজনকে আটক ও জরিমানা করা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষকে জরিমানা ও আটক করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে দেখা যায়, যাঁদের চালান করা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই নিম্ন আয়ের মানুষ। আজ দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায় মো. ফারুক (৩০) নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে। তাঁর পা ও কোমরে সমস্যা থাকায় প্রতিবন্ধী কার্ড ঝোলানো ছিল। তিনি জানান, গতকাল কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে রোগী নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে মহাখালীতে একটি হাসপাতালে নামিয়ে দিয়েছেন। এরপর নিজে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ফেরার পথে বংশালে তাঁকে আটক করে চকবাজার থানা-পুলিশ।
সারা রাত চকবাজার থানায় ছিলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় সিএমএম কোর্টে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাঁকে ১০০ টাকা জরিমানা করে।
মো. ফারুকের ব্যাটারিচালিত রিকশাটি পড়ে আছে চকবাজার থানায়। গাড়ি ফিরে পাবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে মাথা ঘুরে পরে যান তিনি। সঙ্গে তাঁর স্বজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। ফারুক প্রথম আলোকে, ‘আমি গরিব মানুষ। কাজ না করলে কী খাব? গাড়িটা না দিলে মারা যাব।’
Leave a Reply