সিনওয়ার বলেন, ‘যুদ্ধের শেষের দিকে ইসরাইলি আগ্রাসন কার্যকরভাবে বন্ধ করে দেয়ার জন্য হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডস একসঙ্গে ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।’
হামাসের শীর্ষস্থানীয় এ নেতা আরও বলেন, ‘গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো অবস্থানে বিশেষ করে হামাসের সমরাস্ত্র ভাণ্ডারে হামলা চালাতে ইসরাইল ব্যর্থ হয়েছে।’ গাজায় হামাসের নির্মিত টানেলগুলো ধ্বংস করার ইসরাইলি দাবিও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
হামাসের এই নেতা বলেন, ‘গাজায় আমাদের নির্মিত ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা টানেল রয়েছে এবং ইসরাইল সর্বোচ্চ মাত্র ৫ শতাংশ টানেলের ক্ষতি করতে পেরেছে।’
ফিলিস্তিনি জাতি কখনো ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন বন্ধ করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি বলেন, ‘গোটা মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র পাল্টে যাবে এবং ইহুদিবাদী শত্রু আল-আকসা ও আল-কুদসে আমাদের নাগরিকরা বিজয় দেখতে পাবে।’ আল-আকসা মসজিদ রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে অন্তত ১০ হাজার মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
হামাসের এই নেতা কথিত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ভূমিতে কথিত সহাবস্থানের পরিকল্পনার কবর চিরতরে রচিত হয়ে গেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে সিনওয়ার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply