প্রার্থীরা বলছেন, সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা না থাকায় নির্বাচনের আগ্রহ হারিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও। তবে, অবিলম্বে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরও আর কোনও নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। পরে তা থেকে সরে আসে তারা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া বেশ কটি আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে ধানের শীষ প্রতীক।
তবে, জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া ঢাকা ১৪, কুমিল্লা ৫, সিলেট ৩ ও লক্ষ্মীপুর ২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বিগত নির্বাচনে যারা এসব আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছিলেন এবং যারা পেতে চান আসন শূন্য হওয়ায় তারাও নিয়েছিলেন নির্বাচনের প্রস্তুতি। তবে, দলের সিদ্ধান্তকেই মাথা পেতে নিয়েছেন তারা।
দারুস সালাম থানা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা ১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এস এ সিদ্দিক সাজু বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে আমার যে ফলাফল নিয়ে আপত্তি তা আমি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। উপনির্বাচনের ঘোষণা আসলেও তারা এগোতে পারেনি। তারা যদি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ফলাফল দিতে তো ভালো না হলে আমি উচ্চ আদালতে যাব।’
সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘যারা রাজনীতি করেন তাদের সকলেরই ইচ্ছা থাকে নির্বাচন করার। তবে, বিএনপির নীতিনির্ধারকরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যথার্থই। কেননা এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের রায়ের কোনও প্রতিফলন আসবে না।’
শুধু দলীয় নেতাকর্মী নয় বরং সাধরণ ভোটারদেরও এই উপনির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ নেই বলে জানান কুমিল্লা-৫ আসনে ধানের শীষ প্রত্যাশী বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
আসছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি এই চার আসনে ভোট করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Leave a Reply