অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেও কী বাড়ি ফেরার তাড়াটা একটু বেশি দেখা গেল না! প্রথমে ব্যাটিং করে আজও ভালো ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেননি। ১২২ রানেই থেমেছে ইনিংস। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলীয়রাও নিজেদের শেষটা ভালো করতে পারল না।
৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতেই পড়েছে তাদের উইকেট। ৩ উইকেটে ৪৮ করার পর শেষ ৭ উইকেট অস্ট্রেলিয়ার পড়েছে ১৪ রানে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে তারা শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ৮ রানে।
আজ শেষ ম্যাচ খেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম থেকেই অস্ট্রেলীয় দলের বিমানবন্দর যাওয়ার কথা। সেখান থেকে ভাড়া করা উড়োজাহাজ ধরে সোজা দেশে।
বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছিল তাদের। তারাও অনেক দিন ঘরবাড়ি ছাড়া। কিন্তু তাই বলে ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে এমন তাড়াহুড়া নিশ্চয়ই অস্ট্রেলীয় দলের কাম্য ছিল না।

অস্ট্রেলীয় পত্র-পত্রিকা এ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পরই বলেছিল সেই হারে নাকি সর্বকালের ‘তলানি’তে দল। আজ শেষ ম্যাচে ৬২ রানে গুটিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ার পর নিশ্চয়ই নতুন কোনো বিশেষণ খুঁজে নেবেন তারা।
সফরে অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র জয়ের নায়ক ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে আজ ওপেনই করতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফিরলেন ৩ রান করেই। বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি আরেক ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শের ইনিংস। নাসুমের আর্ম বলে আউট হন তিনিও। নাসুম শুরুতেই দুই ওভারে এ দুই উইকেট তুলে নিয়ে বড় ধাক্কা দেন অস্ট্রেলিয়াকে।

এরপরেও রান আসছিল। নতুন বলের গতি ব্যবহার করে এদিক-ওদিক থেকে রান পাচ্ছিল ম্যাথু ওয়েড, বেন ম্যাকডারমটরা। কিন্তু বল যতই পুরোনো হলো, রান করা যেন ততই কঠিন হয়ে উঠল। অধিনায়কের সঙ্গে ম্যাকডারমটের ২২ রানের জুটি ভাঙতেই ধস অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে।
মাত্র ১৩.৪ ওভারের মধ্যে অলআউট হওয়ার ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে আর নেই। আর ধসের শুরুটা হয় সাকিব ও দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হাত ধরে। মাঝের ওভারে দুজন মিলে চোখের পলকে ৭ উইকেট তুলে নেন।
সাকিব ৩.৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ ওভার ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। নাসুম শুরুটা করে দিয়েছিলেন, মাহমুদউল্লাহও তাঁর অফ ব্রেকে নেন ১ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া এই সফরটা ভুলে যেতে চাইবে দ্রুতই। কিন্তু এটি তাদের মনে থাকবে অনেক দিন!
Leave a Reply