ভোটের আগের দিন বুধবার দুপুরে গাজীপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
গাজীপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
ভোটের আগের দিন গাজীপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। ছোট-বড় সব ইলেকশনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই নির্বাচন হচ্ছে আমরা তা মনিটরিং করছি। ইলেকশন মানে ইলেকশন।
“বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনও মনিটরিং করা হবে। অলরেডি কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়ে গেছে। মনিটরিংয়ে আমরা যদি কোনো অনিয়ম পাই, তাহলে সেটা আমরা অবশ্যই আমলে নেব। এটার ব্যাপারে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব করবো না।”
বুধবার দুপুরে গাজীপুর সার্কিট হাউসে নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী নির্বাহী হাকিমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন রাশেদা; পরে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট প্রয়োগ করবেন ১১ লাখ ৭৯ হাজার ভোটার। বুধবার দুপুর থেকেই এসব কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনসহ অন্যান্য ভোট সামগ্রী পাঠাতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
রাজধানী লাগোয়া সবচেয়ে বড় এই সিটি নির্বাচন ঘিরে যেমন টান টান উত্তেজনা আছে; ঠিক তেমনি ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। যদিও গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন বলছে, পাঁচ স্তরের নির্বাপত্তা বেষ্টনিতে গাজীপুরকে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এই নির্বাচন নিয়ে ইসির ওপর যেমন কারো কোনো চাপ নেই; তেমনি ইসিরও কারো ওপর কোনো চাপ নেই মন্তব্য করে রাশেদা সুলতানা বলেন, “যার যার মতো সে সে নির্বাচনের কাজ করছে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই।”
সবাইকে নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা আসলেই চাই, ভোটারদের উপস্থিতিতে ও অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ ভোট হোক। নির্বাচনের কমিশনের স্পষ্ট বার্তা হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। এর কোনো ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা এটাই করব, এটা করার জন্যই আমরা সচেষ্ট।
“অবশ্যই আপনারা কেন্দ্রে আসবেন, নির্ভয়ে আসবেন। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারে এ পরিবেশ নিশ্চিত করবো। ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন এবং স্বচ্ছন্দে ভোট দিয়ে তারা চলে যাবেন। তারা যেন বলতে পারেন যে, আমরা আমাদের ভোটটা দিয়েছি। আর এর ব্যত্যয় ঘটলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কী হবে তা আপনারা দেখতে পাবেন।”
এ সময় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply