সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মা ফৌজিয়া মালেকের মৃত্যুতে এ দোয়া মাহফিল আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বর্তমানে ১২ লাখ টিকারও বেশি হাতে আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ফাইজার এবং সিনোফার্মের টিকা মিলিয়ে বর্তমানে ১২ লাখ ডোজের বেশি হাতে রয়েছে। এসব টিকা আমরা আগামী ১৯ জুন থেকে দেওয়া শুরু করবো। যারা নিবন্ধিত আছে সে অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে সবাইকে স্বাস্থবিধি মেনে চলার প্রতি জোর দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই রোগ প্রতিরোধ করা সবচেয়ে জরুরি। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এখন থেকেই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি জোর দেবো করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের দিকে। মানুষকে সচেতন করতে হবে, এখনও মানুষ মাস্ক না পরে গাদাগাদি করে চলাফেরা করছে।
তিনি বলেন, সবাইকে দেওয়ার জন্য আমাদের কোটি কোটি ডোজ টিকা প্রয়োজন। এজন্য নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোনও উপায় নেই। যেখানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হচ্ছে সেখানে বন্ধ করতে হবে।
আগামী সপ্তাহ ফের টিকাদান শুরু হবে জানিয়ে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে টিকাদান কর্মসূচি আবার শুরু হবে। টিকার জন্য ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদেরই এ টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার সময় এবং তারিখ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন আপাতত বন্ধই থাকবে। পর্যাপ্ত টিকা হাতে এলে তখন আবার নতুনদের নিবন্ধন শুরু হবে।
উল্লেখ্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ভারতের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে গণটিকাদান শুরু হয়। ভারত থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে বাংলাদেশে। আর ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং চীনের সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ মিলিয়ে টিকা এসেছে ১ কোটি ১৪ লাখ ডোজের বেশি।
ইতোমধ্যে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও হাতে নেই। তবে কোভ্যাক্স থেকে শিগগিরই ১০ লাখের বেশি টিকা আসবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হলেও তার দিন তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।
Leave a Reply