আগের দুই ম্যাচে ছোট টার্গেটে পরে ব্যাট করে ওপেনারদের ওপর দিয়েই উতরে গেছে চট্টগ্রাম। কিন্তু এবার মিডল অর্ডারের পরীক্ষার পালা। সেটাতে সফল হতে পারেনি খুব একটা। ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন ব্যর্থ ওপেনার সৌম্যও। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ে নামা মিঠুন অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে থেমেছেন ১৭ রানেই। আগের ম্যাচের ফিফটি করা লিটন রেশ ধরে রেখেছেন এ ম্যাচেও। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি শেষ অবদি। ২৫ বলে ৩২ রানে ফিরেছেন।
পরে হাল ধরার চেষ্টা শামসুর-মোসাদ্দেকের। শামসুর ২৬, মোসাদ্দেক ২৮ তুলে বিদায় নিয়েছেন। ধুকতে থাকা চট্টগ্রাম এরপর মোমেন্টাম পেয়েছে সৈকত আলির ব্যাটে। শেষ দিকে ১১ বলে ২৭ রানের ছোটখাটো ঝড়েই দেড়শ পার দলের।
টার্গেট তাড়ায় শুরুতেই মেহেদী মিরাজের উইকেট গেছে বরিশালের। তিনে নেমে পারভেজ ইমনও পারেননি থিতু হতে। আশা জাগাচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম। তবে ৩২ বলে ৩২ এর বেশি যেতে পারেননি। শেষ চেষ্টাটা করেছেন তৌহিদ হৃদয়-আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু রানের চাকা ঘোরেনি বেশিক্ষণ। ১৭ রানে হৃদয় আউট হবার পর ২৪ রান করা আফিফকে সোজা বোল্ড করেন শরীফুল। বরিশালের শেষ দুই ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর আর মাহিদুলকে আউট করে চট্টগ্রামের হ্যাটট্রিক জয়টা নিশ্চিত করে দেন দ্যা ফিজ।