ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-এই শ্লোগানকে ধারণ করে ‘একাত্তরের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন বিক্রি করছে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র।

সংগঠনটির টার্গেট নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি ভাতা, চাকরিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে শত শত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বলছে, নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে অনেক আগেই।

একাত্তরের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নামে একটি সংগঠনকে ২০১৭ সালে নিবন্ধন দেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। বলা হয়েছিল স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের মত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে ভূমিকা পালনের। কিন্তু, মাস না যেতেই সংগঠনটি সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সনদ, পরিচয়পত্র, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি দেয়ার নাম করে শুরু করে প্রতারণা।

রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধাসহ বেশকয়েকটি জেলার নিম্নআয়ের মানুষকে টার্গেট করে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি ভাতা, সন্তানদের চাকরিসহ সরকারি সব সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এভাবে সাড়ে চারশ’ লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় কয়েক লাখ টাকা। তাদেরকে দেয়া হয় সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সনদও। আর এসব ভুয়া সনদ তৈরি করা হয় রাজধানীর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি দোকানে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে পুলিশ গেপ্তার করেছে বলে জানান নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার আবুল হাসান।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকা বলছে, প্রতারণার অভিযোগে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। পুলিশ বলছে এই চক্রে আরো কয়েকজন জড়িত আছে। তাদেরকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।