বরিশাল জেলার মুলাদী বন্দর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের জায়গায় উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদে গতকাল ১৬ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৬টার দিকে মুসল্লিদের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান রবিন বলেন, ১৯৬২ সালে মুলাদী বন্দর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আস্তে আস্তে মসজিদের মুসুল্লি বৃদ্ধি পেতে থাকে ও জায়গার সংকট দেখা দেয়। ১৯৯৯ সালে মসজিদের খতিব হাফেজ মাও: মোঃ সাইফুল্লাহ (বড় হুজুর) মসজিদ ও কমপ্লেক্স-এর ভবন করার জন্য ১ একর ৫০ শতাংশ জমির জন্য আবেদন করেন।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুলাদী বন্দর ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ আবদুর রাজ্জাক ভুলুর সহযোগীতায় তৎকালীন চীপ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি“র সুপারিশক্রমে ৩০ শতাংশ জমি বরাদ্ধ হয়।
২০০৩ সালে হাফেজ মাও: মোঃ সাইফুল্লাহ (বড় হুজুর) মসজিদের অনুকুলে চরডিগ্রী মৌজায় এস-এ ১১৪৪ খতিয়ানে ২৯০৫/১নং দাগে ৩০ শতাংশ জমি মসজিদের নামে দলিল সম্পাদন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মসজিদের নিজস্ব জায়গাটি নষ্ট ও দখল হয়ে যাবে বিধায় মসজিদের ঘর তোলা হচ্ছে। এ জায়গাটি সম্পূর্ণ মসজিদের নিজস্ব জায়গা। এ জায়গার মধ্যে অন্য কারো সম্পত্তি নেই। দীর্ঘ দিন জায়গাটি পড়ে থাকায় ভূমিদস্যুদের দৃষ্টি পড়েছে।
মসজিদটির জায়গার প্রয়োজন ও ভূমি দস্যুদের ছোবলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘড় তোলা হচ্ছে। একটি কু-চক্রি মহল এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বিনষ্ট করার জন্য এ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গায় মসজিদের ঘর তুলতে গেলে মুলাদী থানা পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা বলে জানান।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ আহম্মেদ মৃধা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানের জায়গায় ঘর তোলা হচ্ছে বলে ৯৯৯ ফোন করিলে সে সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করা হলে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মসজিদের জায়গার দলিল দেখানোর পর আমরা চলে আসি।
জায়গাটি মুক্তিযোদ্ধার কবর স্থানের জন্য বরাদ্ধকৃত কিনা জানতে চাইলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার হাবিবুর রহমান হান্নান বলেন, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঐ জায়গার জন্য মৌখিকভাবে বলে গেলেও তার কোন লিখিত নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাস বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানের জন্য কোন লিখিত জায়গা আছে কিনা তার জানা নাই। সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সার্ভে করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মসজিদের জায়গায় উন্নয়ন প্রতিবন্ধোকতার প্রতিবাদে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান রবিন-এর নেতৃত্বে মুসল্লিলিদের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে। মিছিলটি মুলাদী বন্দর মসজিদ থেকে বন্দর হয়ে উপজেলা পরিষদের কাছে এসে শেষ হয়।
সূএ্যঃ bslnews24
Leave a Reply