৫০ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার নিয়ে ব্যাপক দু’র্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে।
এ টাকা সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে যাওয়ার কারণে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা একই ফোন নাম্বার ৩০/৪০ বার করে দিয়ে গরিবের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
এ কারণে তালিকায় থাকা ৮ লাখ মোবাইল নাম্বার বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) রাত নটায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।
জানা গেছে, তালিকায় একাধিকবার থাকায় এই আট লাখ মোবাইল নম্বর বাতিল করা হয়েছে। তথ্যটি জানিয়েছেন দু’র্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, তালিকা সংশোধন করা হচ্ছে। যারা টাকা পান নি তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে।
ক’রোনা সং’কটে কর্মহীন ও প্রা’ন্তিক হতদরিদ্র মানুষের সহায়তায় ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মানুষের মোবাইল ব্যাং’কিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁ’ছাতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, করোনা প’রিস্থিতির কারণে মে এবং জুন-এই দুই মাস ৫০ লাখ পরিবার পাঁচ হাজার করে টাকা পাবে। বিকাশ, নগদ, রকেট ও শি’ওরক্যাশের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে টাকা পৌঁ’ছানো হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্য শুরু হলো কে’লেঙ্কারি,
এদিকে তালিকায় রয়েছেন- রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্র’মিক, কৃষিশ্র’মিক, দোকানের ক’র্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্র’মিক, পোল্ট্রি খামারের শ্র’মিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্র’মিক, হকার। এছাড়া কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের অনেক পেশার মানুষকেও রাখা হয়েছে।
অর্থ ম’ন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরিবারগুলোকে টাকা দেয়া হবে মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদ এবং শিওরক্যাশ।
অর্থাৎ নগদ সহায়তা হলেও কাউকে নগদে টাকা দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে এমএফএসে বড় আকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে স’রকারকে।
টাকা পৌঁছানোর জন্য এমএফএসগুলো পাবে প্রতি হাজারে মাত্র ছয় টাকা। হাজারে ছয় টাকা হিসাবেই পৌঁছানোর মোট খরচ দাঁড়ায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। এ টাকা স’রকার বহন করবে।
পরিবারগুলোর কোনো টাকা দিতে হবে না। এ কারণে খরচের জন্য আলাদাভাবে সাত কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ ম’ন্ত্রণালয়।
মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। সবচেয়ে বেশি ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে এ টাকা পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ।
Leave a Reply