সুপার সাইক্লোন আম্পান অতি প্রবল শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে শ্বাস ফেলছে। বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আগের ৬ নম্বর বিপদ সংকেত সরিয়ে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২০ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।
এর আগে দিনের শুরুতে সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।
এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর এই মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ওইসময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।
সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বর্তমান অবস্থান থেকে আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২০ মে) বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল সুন্দরবনের কাছে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে। ওইসময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
গত ২০ বছরের মধ্যে ‘আম্পান’ হতে পারে বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট এ অঞ্চলে সবচেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়- আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে।
সবশেষ ১৯৯৯ সালে ওডিশার উপকূলে আঘাত হানা প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়ে ভারতে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। এরপর গত ২০ বছরে এত প্রবল শক্তি নিয়ে আর কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়নি।
Leave a Reply