পাকিস্তানের করাচিতে পিআইএ’র বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৯৯ জন আরোহীর ৯৭ জনই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে, ঘটনার কারণ তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। তবে পাকিস্তানের পাইলটদের সমিতি বলছে, সরকারি তদন্তের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই।
পাকিস্তানের জাতীয় এয়ারলাইনসের বিমানটিতে ছিলেন ৯১ জন যাত্রী আর ৮ জন ক্রু। তাদের মধ্যে দু’জন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন, বাকি ৯৭ জনের সবাই নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এখন মৃতদেহগুলো আত্মীয়স্বজনদের হাতে তুলে দেবার আগে ডিএনএ টেস্ট করে সেগুলো শনাক্ত করার কাজ চলছে।
বিমান বিধ্বস্ত হবার কারণ এখনো জানা যায় নি, তবে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লাহোর থেকে আসা ফ্লাইটটির পাইলট একবার অবতরণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং কারিগরি ত্রুটির কথা কনট্রোল টাওয়ারকে জানিয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়া এক রেকর্ডিংএ পাইলট বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হবার কথা বলছিলেন বলে শোনা গেছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, বিমানটি স্বাভাবিকভাবেই উড়ছিল এবং ভেতর থেকে যাত্রীরা বুঝতেই পারেন নি যে বিমানটি মাটিতে পড়ে যাচ্ছে।
এ সময় তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু একটু পর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি দেখতে পান চারদিকে আগুন জ্বলছে।
“মানুষের আর্তচিৎকার শুনছিলাম সব দিক থেকে – প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু সবার আর্তচিৎকার। যেদিকে তাকাচ্ছি শুধু আগুন আর আগুন। কোন মানুষ দেখতে পাইনি -শুধু চিৎকার শুনেছি।”
”আমি সিটবেল্ট খুলে ফেলি। তারপর আলো দেখতে পাই। আলোর দিকে ছুটে যাই আমি তারপর লাফ দিই ১০ ফুট নিচে। ধ্বংসাবশেষ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে যাই,” বলছিলেন মুহাম্মদ জুবায়ের।
মি. জুবায়ের সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি বলছেন পাইলট প্রথমবার অবতরণ করার চেষ্টা করে ব্যথ হন । এর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
Leave a Reply