এর আগে, গত ৩১শে মে ২ হাজার ৫৪৫ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা ছিলো সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এছাড়া, মৃত্যুর দিক থেকেও গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এর আগে, ৩১শে মে তেই সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২রা জুন) দুপুরে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এসময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে ১৪,৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর, এ সময়ে পরীক্ষা করা হয় ১২,৭০৪টি নমুনা। এ নিয়ে মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত ২,৯১১ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৫২ হাজার ৪৪৫ জন শনাক্ত হলেন। আর, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫২৩ জন করোনা থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন। এ নিয়ে মোট ১১ হাজার ১২০ জন সুস্থ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নতুন করে পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের হার ২২.৯১ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৩৮৮ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে আছেন ৬,২৪০ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিলো। কিন্তু এরপর থেকে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি তুলে নিয়েছে সরকার। সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল।