গবেষকেরা বলছেন, টাক মাথার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক বেশ তীব্র। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়া মানুষের মধ্যে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন যাদের মাথায় টাক। বেশ কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে করোনায় সংক্রমণের জন্য টাক মাথা বড় একটি লক্ষণ হয়ে উঠতে পারে বলে গবেষকেরা প্রমাণ পেয়েছেন।
মার্কিন চিকিৎসক ফ্রাংক গ্যাব্রিনের মৃত্যুর পর এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ওই চিকিৎসকের মাথায় টাক ছিল। টাক মাথায় করোনার ঝুঁকির বিষয়টিকে ‘গ্যাব্রিন সাইন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা।
গবেষক দলের প্রধান ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কার্লোস ওয়ামবিয়ের টেলিগ্রাফকে বলেন, মাথায় টাক পড়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য ঝুঁকির তীব্রতা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী দিচ্ছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের আগে থেকেই সচেতন করছে।
চীনের উহানের ঘটনার পর গবেষকেরা দেখেছেন, সেখানে নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি। এ নিয়ে বেশ গবেষণা হয়েছে যে কেন নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি মারা যাচ্ছেন।
মাদ্রিদের তিনটি হাসপাতালের ৭৯ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিই টাক মাথার। তবে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, এ বিষয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। এখনই সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে, এ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, কর্মক্ষম পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার হার নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ। এদের অনেকেরই মাথায় টাক ছিল।
গবেষকেরা বলছেন, পুরুষের শরীরের বেশ কিছু হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরোনের মতো হরমোন কেবল চুল পড়ার জন্যই দায়ী নয়। এটি করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। সে কারণেই যাদের টাক পড়ছে তাদের শরীরে খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে করোনাভাইরাস। এই হরমোনের মাত্রা কমিয়ে আনতে যদি প্রথম থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করা হয় তবে, কোভিড-১৯–এর প্রবণতাও কমিয়ে আনা সম্ভব।