রাজধানীতে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এই গামছা পার্টির দুই সদস্য নিহত হয়েছে, আটক করা হয়েছে দুইজন।
১৭ই জুন রাজধানীর ৩০০ ফিট থেকে দক্ষিণখানের সোনিয়া আক্তারের স্বামী হারুন অর রশীদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গেলে তিন মাসে মোট ৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় একই এলাকা থেকে।
৩০০ ফিট এলাকা অপরাধীদের হটস্পট এই শিরোনামে গেল ২৭শে জুন খবর প্রচারিত হয় ডিবিসি নিউজে। সোনিয়া আক্তারের স্বামী হারুণের হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম সন্ধান পায় একটি অপরাধী চক্রের। যারা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর আড়ালে মূলত ছিনতাই করে আসছিল।
রবিবার রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চক্রটি ছিনতাইয়ের জন্য বের হওয়ার তথ্য ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে একটি সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করার চেষ্টা করে পুলিশ। ছিনতাইকারী চক্রের একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে নিহত হয় নান্নু ও মোশাররফ নামে দুইজন। চক্রের বাকি দুই সদস্য শফিক ও সিদ্দিককে আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন সিএনজিটিকে পুলিশ বার বার থামতে বললেও থামেনি।
পুলিশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি সিএনজিতে যাত্রী তোলার নাম করে ছিনতাই করে আসছিল। ১৭ই জুন দক্ষিণখানের হারুন অর রশীদকে খুন করার পর তার মরদেহ ফেলে রেখেছিল ৩০০ ফিট এলাকায়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান বিভাগ) উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম এই গ্রুপটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার। একটি গ্রুপ এখান থেকে লোক উঠিয়ে পথে চোখে মলম দেয়, গলাতে ফাঁস দিয়ে সব ছিনিয়ে নেয়। যদি কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করে তবে তাকে রক্তাত্ত করে মেরে ফেলে।”
গেলো তিনমাসে তিনশো ফিটের রাস্তায় বেশ ক’টি ঘটনায় কয়েকটি মরদেহ পাওয়ার পর বাড়তি নজরদারি শুরু হয় জায়গাটি ঘিরে। পুলিশ বলছে, অপরাধের স্পট হয়ে ওঠা এলাকাটিতে বন্দুকযুদ্ধে নিহতরাও বড় অপরাধী। মনে করা হচ্ছে এরাও কথিত গামছা পার্টির সদস্য। গামছা পার্টির সদস্য কতজন, হোতাই বা কে, পুরো নেটওর্য়াকটিকে খুজেঁ বের করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।