মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ বেঞ্চ এই আদেশ দেবেন। সংশ্লিষ্ট মামলাটি আপিল বিভাগের কালকের কার্যতালিকার ১ নম্বরে রয়েছে। আপিল বিভাগ গত ২৪ নভেম্বর এ আদেশে ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।
যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ নিয়ে দেশের প্রচলিত আইনে আছে এক রকম, কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ থেকে এ বিষয়ে দুই রকম রায় দেওয়া হয়েছে। ফলে এ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড, নাকি ৩০ বছর কারাদণ্ড হবে, নাকি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসবে, তা জানা যাবে এ রায়ের মধ্য দিয়ে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
সাভারের জামান হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের দেয়া ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হওয়ার পর এ রায়ের দিন ধার্য করা হয়। গত বছরের ১১ এপ্রিল এ মামলায় চারজন অ্যামিকাস কিউরিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন- ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, এএফ হাসান আরিফ, আব্দুর রেজাক খান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন।
২০০১ সালে সাভারে জামান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৩ সালে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। হাইকোর্টে আপিলের পর বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আপিল বিভাগ ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস’ এমন মন্তব্য করেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তবে ওইদিন অন্যান্য মামলার আসামিদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে কিনা- সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, সবার ক্ষেত্রে এ রায় প্রযোজ্য হবে কিনা- সেটি পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।