1. admin@ukbanglanews.com : admin :
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

বিবিসির বিশ্লেষণ: আবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন, এরপর কী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪০ বার

ইসরায়েলের ওপর মিসর ও সিরিয়ার আকস্মিক হামলার মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সালে চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। গতকাল শনিবার ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বড় ধরনের হামলাকে কেন্দ্র করে ৫০ বছর পর আগের সে পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল হামাসের হামলাটিও ছিল আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত। দিনটিও ছিল ইহুদিদের ছুটির দিন। ওই হামলার পর ইসরায়েলও গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে। স্থল অভিযানেরও পরিকল্পনা করছে তারা।
কিছুদিন ধরেই গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। তবে ভাবা হচ্ছিল, গাজার শাসনে থাকা হামাস কিংবা ইসরায়েল কেউই চায় না উত্তেজনা আরও বাড়ুক। সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে গতকাল শনিবার হঠাৎ ইসরায়েল অভিমুখে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে হামাস। তারা একের পর এক রকেট ছুড়তে থাকে। কিছু রকেট জেরুজালেম ও তেল আবিবের মতো দূরবর্তী শহরগুলোতেও পৌঁছাতে পেরেছে।

হামাসের হামলা আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত হলেও তা ছিল সুপরিকল্পিত। শনিবার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি স্থলপথ, সমুদ্রপথ ও আকাশপথ ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়েন। তাঁরা কয়েক ঘণ্টা ধরে ইসরায়েলি শহর ও সেনাচৌকি অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাঁদের অভিযানে বেশ কিছুসংখ্যক ইসরায়েলি নিহত হন। কিছুসংখ্যক সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিককে তাঁরা জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছেন। তবে এ সংখ্যা ঠিক কত, তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।

 

সাধারণ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা আতঙ্কে

গতকাল শনিবার ইহুদিদের ছুটির দিন ছিল। শনিবার রাতে গাজার কাছের এলাকাগুলোতে উৎসবে ব্যস্ত থাকা হাজারো ইসরায়েলিও গোলাগুলির কবলে পড়েছিলেন। ফুটেজে দেখা গেছে, তাঁরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। গিলি ইয়োসকোভিচ বিবিসিকে বলেন, ভারী অস্ত্রশস্ত্রবাহী হামাস যোদ্ধাদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি গাছের ফাঁকে লুকিয়ে ছিলেন। ইয়োসকোভিচ আরও বলেন, ‘তারা এক গাছ থেকে আরেক গাছের কাছে যাচ্ছিল এবং সব জায়গায় গুলি ছুড়ছিল। দুই পাশ থেকে গুলি চলছিল। আমি দেখলাম, চারপাশে মানুষ মরে পড়ে আছে।’

কিব্বুৎজ বিরির বাসিন্দা এলা ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হা ইয়োমকে বলেন, রকেট হামলার আগে আগে সতর্কসংকেত বাজানো হলে তাঁর বাবা বোমা থেকে সুরক্ষিত একটি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গিয়েছিলেন। এখন তিনি তাঁর বাবাকে নিয়ে আতঙ্কে আছেন।

এলা বলেন, ‘তিনি (বাবা) আমাকে লিখে পাঠিয়েছেন যে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়েছে। টেলিগ্রাম অ্যাপে আমি তার ছবি দেখেছি। সেখানে দেখা গেছে, তিনি গাজায় আছেন। আমি এখনো গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি।’

ইসরায়েলিদের অনেকের অভিযোগ, তাঁদের দেশের নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত সহযোগিতা করতে পারেনি। হামাসের বিভিন্ন মাধ্যমগুলোতে শেয়ার হওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, সেনাচৌকি ও একটি ট্যাংকে থাকা সেনাদের আটক ও হত্যা করা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2023 UK বাংলা News
Desing & Developed By UK বাংলা News
error: Content is protected !!