প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং ভলকান আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা এবং কোভিড-১৯সহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
ভলকান বজকির বলেন, মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাস হতে দেশের জনগণ এবং অর্থনীতিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’ করোনা ভাইরাস থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রণোদনা প্যাকেজ ও সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের জন্য অন্যান্য অর্থ সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা আলোচনায় ছিলাম। যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছিল না।’ মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’
এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির।
ভলকান বজকির মঙ্গলবার সকালে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেন। ইউএনজিএ প্রেসিডেন্ট বুধবার পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ত্যাগের আগে আগামিকাল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
Leave a Reply