আবারও বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো মানুষ। চলতি বছরের প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের দেখা পেলো বিশ্ববাসী। একই সাথে দেখা মিলল সুপার, ব্লাড ও ফ্লাওয়ার মুনের। গত দুই বছরে এটাই প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
বুধবার রাতের আকাশে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা গেছে বর্ণিল আভার ঝকঝকে চাঁদকে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জেরুজালেম, জার্মানি, তুরস্ক, চীন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকাশে অন্যান্য দিনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ও উজ্জল চাঁদ দেখা যায়।
অন্যান্য চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় বুধবারের চন্দ্রগ্রহণটি বিভিন্ন কারণে দুর্লভ ও বিশেষ। কারণ এদিন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের পাশাপাশি দেখা গেছে সুপার, ব্লাড ও ফ্লাওয়ার মুন।
মূলত সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরল রেখায় আসলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ নামের এ মহাজাগতিক ঘটনাটি ঘটে। একই সরল রেখায় থাকে বলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ঠিক সেই বিশেষ মুহুর্তটি রক্তাভ দেখায়। তাই একে বলা হয় ব্লাড মুন।
এদিকে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে আসার কারণেই চাঁদকে প্রায় দ্বিগুণ বড় দেখায়। একারণেই একে বলা হয় সুপার মুন। প্রতি আড়াই বছরে একবার সুপার মুন আর পূর্ণগ্রাস চন্দ্র গ্রহণের ঘটনা ঘটে। এবারের সুপার মুন স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ শতাংশ বড় এবং চার শতাংশ উজ্জল।
এদিকে পূর্ব আমেরিকার বসন্ত চলার সময় এ চাঁদের দেখা মেলায় একে বলা হচ্ছে ফ্লাওয়ার মুনও।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টার পরে। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে সুপার মুন দেখতে পারে নি এই অঞ্চলের মানুষ।
Leave a Reply