এর এক পযার্য়ে পরিবারের অমতে বিয়ে। তাদের ভালোবাসা মেয়ের পরিবার মেনে নিতে চায়নি সেহেতু সেই ছেলের খোঁজ খবর নেওয়া প্রয়োজন মনে করেনি।মেনে না নিলেও তাদের ভালোবাসা অটুট ছিলো।তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।হঠাৎ একদিন ছেলে মেয়ের বাসায় এসে জানায় যে তারা দু’জন দুজনকে খুব ভালোবাসে।তারা একজন আরেক জনকে ছাড়া থাকতে পারবে না।ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকুরি করে,সে এখনো বিয়ের অনুমতি পায়নি।তারা এক ভাই এক বোন।তার বাবা খুব রাগি মানুষ, হঠাৎ করে বিয়ের কথা বললে সে এখন রাজি হবেনা।পরবর্তীতে তার বাবা রাজি না হলেও সরকারি চাকরি থাকার সুবাদে সংসার জীবনে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। ঐ দিনই দুজনের জিদাজিদিতে মাত্র কয়েকজন মানুষ এর সামনে তারা তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ করে।তাদের এই বিয়েতে পরিবার সন্তুষ্ট ছিলো না।ছেলে বলছে যে তার বিয়ের অনুমতি হলে সবাইকে জানিয়ে ধুমধামে বিয়ে করবে।ছেলে শুরু থেকেই প্রতারণা করে আসছে।মিষ্টিভাষি আর চতুর হওয়ায় কখনো কিছু বোঝা যায়নি।তার দেওয়া ঠিকানা ভুল ছিলো।তার পেশা চাকুরির বদলে ব্যবসা দিয়েছে যেন তার চাকুরির কোনো সমস্যা না হয়।এভাবে ৮ মাস কেটে গেছে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখতে চাওয়া হলে সে বাসায় থেকে এনে দিবে বলে জানায়।এই ৮ মাস তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিলো।হঠাৎ ২৪-৫-২০২১ সকাল ১০ টায় ছেলে ফোন দিয়ে বলে তার বাবা খুব অসুস্থ এখনি তার মা তাদের বাসা যেতে বলছে।বাবার অবস্থা সিরিয়াস, এখন তারা বাসায় গেলে সবাই তাদের মেনে নিবে।সেই সময় তার কথিত মাও মেয়েকে ফোন দিয়ে বলে যে এখুনি যেন সে তার ছেলের সাথে বরিশালে তাদের বাসায় যায়।মেয়ের বাসা থেকে এইভাবে হঠাৎ একা একা তাকে অচেনা জায়গায় একা একা ঐ ছেলের সাথে যেতে দিতে রাজি হয়নি।ছেলের সাথে মেয়ের বাসা থেকে কথা বলতে চাইলে সে কথা বলতে রাজি হয়নি। মেয়ের সাথে রাগারাগি করে।বলে পরে তার পরিবার মেনে না নিলে সে দ্বায়ী নয়।এখন যেতে বলছে তাই এখুনি যেতে হবে।সে তার বিয়ে করা বউ,তাই তার কথা শুনতে হবে।সবাই বাধা দিলেও মেয়ে তা মানে না।তখন মেয়ের ছোট ভাই যে অনার্স এ অধ্যায়নরত তাকে বগুড়া চারমাথা বাসস্ট্যান্ডে যেয়ে ছেলের সাথে দেখা করে দু’জন দুজনকে কুষ্টিয়ার লোকাল বাসে তুলে দিয়ে আসে।ছেলের বাবার সিরিয়াস অবস্থা তাই তাদের সময় নাই,ভেঙ্গে ভেঙ্গে তারা বাসায় যাবে।গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় নাই।গাড়িতে যাওয়ার সময় ৩ বার মেয়ের সাথে কথা হইছে লাষ্ট রাত ১০.৩০ মিনিটে কথা হইছে তখন তারা ঝিনাইদহ বলে জানায়।এরপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ।সন্দেহ হলে গত ২৬-৫-২০২১ এ থানায় জিডি করা হয় ও ২৭-৫-২০২১ এ জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনম্যন্ট এ অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অবশেষে গতকাল ৩১/০৫/২০২১ এ সংবাদ পাওয়া গেল,বরিশালে প্রেমিক মোঃ সাকিব হোসেন ( সেনাবাহিনী ) সে নিজে শিকার করেছে যে, সে নিজ হাতে প্রেমিকা মোছাঃ নাজনীন আক্তার কে খুন করে, তার বরিশাল নিজ বাসভবনে ছাদের উপর সেফটি ট্যাংকের ভিতর লুকিয়ে রেখেছে।।
পুলিশ পরে লাশটি উদ্দার করেছে।।
মেয়ের পরিবারের সদস্যদের সকলের দাবি যেন অতি তাড়াতাড়ি ছেলে মোঃ সাকিবের ফাঁশি।।
জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
Leave a Reply