1. admin@ukbanglanews.com : admin :
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
নিউজ আপডট
বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে অ্যাপ বানিয়েছেন ইব্রাহিম জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরায়েল হাসান নাসরুল্লাহ হত্যায় প্রতিশোধের ঘোষণা খামেনির, পাঁচ দিনের শোক ইরানে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রায় বিশ্বকে পাশে চায় বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে ইসরায়েলের পেজার আক্রমণ, বহুদূর গড়াবে প্রভাব যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাড়ে ১৭ বছর মানুষের জীবনে ছিল দুঃসহ কালো রাত: জামায়াতের আমির শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্ন, কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করার কথা বললেন জয়শঙ্কর
ব্রেকিং নিউজ :
বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে অ্যাপ বানিয়েছেন ইব্রাহিম জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরায়েল হাসান নাসরুল্লাহ হত্যায় প্রতিশোধের ঘোষণা খামেনির, পাঁচ দিনের শোক ইরানে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রায় বিশ্বকে পাশে চায় বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে ইসরায়েলের পেজার আক্রমণ, বহুদূর গড়াবে প্রভাব যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাড়ে ১৭ বছর মানুষের জীবনে ছিল দুঃসহ কালো রাত: জামায়াতের আমির শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্ন, কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করার কথা বললেন জয়শঙ্কর

জাকাত করুণার দান নয়, এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৪১ বার

রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন। অসহায় নিরন্ন মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। তাদের ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা।

দানখয়রাত ও ফিতরা–জাকাত ইত্যাদি রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল করেন। কোথাও কোথাও দেখা যায়, অনেক কাপড় ব্যবসায়ী অসম্মানজনকভাবে জাকাতের কাপড় বিক্রির ব্যানার ঝোলান। বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু কম দামি নিম্নমানের শাড়ি কাপড় ও লুঙ্গি বিক্রি করেন।

কোনো কোনো জাকাতদাতারাও এমন আছেন, যাঁরা এগুলো কিনে জাকাত হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা প্রথমত জাকাতকে অসম্মান করেন; দ্বিতীয়ত, জাকাতদাতাকে হীন কাজে প্রলুব্ধ করেন; যা অনৈতিক।

হাদিস শরিফে আছে, ‘মন্দ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী অনুরূপ মন্দ কাজের সমান প্রতিফল পাবে এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানকারী সেরূপ ভালো কাজ করার সমান সুফল পাবে।’

যেসব জাকাতদাতা এ ধরনের নিম্নমানের শাড়ি–লুঙ্গি জাকাত হিসেবে দিচ্ছেন, তাঁরা একদিকে জাকাতকে অসম্মান করছেন, অন্যদিকে জাকাত গ্রহীতাকেও অমর্যাদা করছেন। সব মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম খোদায়ি বিধান জাকাতের অবমাননা হচ্ছে আর মানবতার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে; সর্বোপরি ইমান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ একটি মৌলিক ইবাদতে ছলচাতুরীর মাধ্যমে খেল-তামাশায় পরিণত করা হচ্ছে।

রমজানের মূল লক্ষ্য মানবভ্রাতৃত্বের শিক্ষা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাচ্ছে।

জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)

পাওনাদারের টাকা দিয়ে পাওনাদারকে নিম্নমানের কিছু কিনে দেওয়া ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কী? আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস দান করবে। আর তোমরা যা দান কর, আল্লাহ তা সে বিষয়ে অবগত।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৯২)।

যেহেতু এটি তার পাওনা, সুতরাং প্রাপককে তার পাওনা সসম্মানে প্রদান করতে হবে; যাতে তিনি তা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। জাকাত প্রদান করা ফরজ ও সদকা আদায় করা ওয়াজিব; কিন্তু কোনো মানুষকে হেয় জ্ঞান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, কারও সম্মানহানি করা নাজায়েজ ও হারাম কাজ।

সদকাতুল ফিতর ও জাকাত এবং যেকোনো ফরজ–ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ–ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা ও ক্ষমা সেই দান অপেক্ষা উত্তম, যার সঙ্গে অনুগামী হয় যন্ত্রণা। আর আল্লাহ তাআলা ধনী ও সহিষ্ণু।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩)।

সদকা ও জাকাত এমনভাবে দেওয়া উত্তম, যা গ্রহীতা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মুদ্রা বা টাকাই অগ্রগণ্য, কেননা এর দ্বারা গ্রহণকারী নিজের রুচি ও ইচ্ছামতো প্রয়োজন মেটাতে পারেন। কোনো কাপড়চোপড় বা খাদ্যদ্রব্য অথবা অন্য কোনো বস্তু কিনে দিলে ব্যবহার উপযোগী মানসম্পন্ন জিনিসই দেওয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024 UK বাংলা News
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com