হজ করতে ব্যক্তিদের করোনার টিকার দুটি ডোজই নেওয়া থাকতে হবে, অথবা এক ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ১৪ দিন পার হতে হবে। আর করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা হজ করার সুযোগ পাবেন।
হজের বিষয়ে এই বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে যুক্তি হিসেবে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটি ২০২০ সাল নাগাদ ওমরাহ ও হজের জন্য আসা মুসল্লিদের সংখ্যা দুই কোটিতে উন্নীত করতে চেয়েছিল। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিন কোটিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তারা। এতে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু হজ থেকেই ৫০ বিলিয়ন রিয়াল (১৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার) আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল দেশটি।
গত মাসে সৌদি আরব সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সৌদি কর্তৃপক্ষ এবার প্রাথমিকভাবে টিকা নেওয়া কিছুসংখ্যক বিদেশিদের হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছিল। কিন্তু কে কোন টিকা নিয়েছেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি, এসব টিকার কার্যকারিতা এবং করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগের কারণে কর্মকর্তারা ওই পরিকল্পনা থেকে সরে যান।
বিকেলে আরব নিউজে হজ নিয়ে সৌদি মন্ত্রীদের ঘোষণাসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও এবার নাগরিকদের হজে যাওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মু. আ. হামিদ জমাদ্দার প্রথম আলোকে বলেছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, এবার বহির্বিশ্ব থেকে কোনো হজযাত্রী নেবে না তারা।
Leave a Reply