খুলনায় চলমান বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার (২ জুলাই) পুলিশের সঙ্গে মাঠে নেমেছে বিজিবি। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে খাদ্য সংকটে কাজের সন্ধানের রাস্তায় নেমেছে শ্রমজীবী মানুষ।
এক শ্রমিক বলেন, ১০-১২ দিন ধরে কাজ হয়না। বাচ্চা-কাচ্চাদের কি করে খাওয়াবো?
আরো এক শ্রমিক বলেন, রাস্তাঘাটে বের হতে পারিনা। কাজ নাই। সরকার আমাদের সাহায্য দেয়না। এ কারণেই তো এখন বের হয়েছি।
যশোরে সকাল থেকেই তৎপর আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ বিজিবির পাশাপাশি মাঠে আছে সেনাবাহিনী।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি যশোর জেলাবাসীকে অনুরোধ করতে চাই, কয়েকটা দিন যদি বিধিনিষেধ মানা হয়, তাহলে সংক্রমণ কন্ট্রোলে চলে আসবে।’
সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট কর্নেল তানভীর জানান, ‘জনগণকে সর্বোপরি সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে করে আমরা এই করোনার প্রকোপ ও বিস্তার রোধ করতে পারি।’
এদিকে, চট্টগ্রামে সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের আনাগোনা অনেকটাই কম দেখা গেছে। তবে জেলা প্রশাসনের ৬টি দল নগরীর বিভিন্ন স্থানে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় দিনের মতো রংপুরে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। তৃতীয় ধাপে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব।
তবে বরিশালে অপ্রয়োজনে বের হয়েছে কেউ কেউ। ওষুধ ও খাবারের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
সাপ্তাহিক ছুটি ও বৃষ্টি থাকায় সিলেটে গতকালের চেয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল কম ছিলো। রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল করেছে।
এছাড়া ভোলা, নড়াইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজারসহ সারা দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।
এদিকে, সকাল থেকেই বৃষ্টি ও গণপরিবহণ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খোলা থাকা শিল্পকারখানার শ্রমিকরা। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক আনা নেয়ার কথা থাকলেও নির্দেশনা মানেননি বেশিরভাগ কারখানা মালিক। ভোগান্তিতে পড়েন সাভার, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের কারখানামুখী শ্রমিক।
Leave a Reply