মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর কাফরুল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে । বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
বিস্তারিত আসছে…
নব্য জেএমবির বোম প্রস্তুতকারক তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিস। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থসহ বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম এবং সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স শেষ করেন। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় হিজরত করায় মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। ২০১৬ সালে অনলাইনে “হোয়াইট হাউজের মুফতি” আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৎকালীন নব্য জেএমবির আমির মুসার হাত ধরে সংগঠনটিতে যোগ দেন। রসায়নে পারদর্শী হওয়ায় সামরিক শাখার সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান জাহিদ। পরে সদস্যদেরকে বিভিন্ন ধরনের টাইম ও রিমোট কন্ট্রোলড বোমা ও গ্রেনেড তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন তিনি। নব্য জেএমবির কার্যক্রম বিস্তৃত করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিকবার বৈঠক করেন জাহিদ। সম্প্রতি ড্রোন বানানোর পরিকল্পনা করেন জাহিদ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ড্রোনের সঙ্গে বিস্ফোরক যুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পুলিশ বক্সে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন জাহিদ। গ্রেপ্তার অপর দুই সদস্য সাইফুল ইসলাম মারুফ ও রাম্মান হোসেন ফাহাদও জাহিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বোমা তৈরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠে।একাধিক বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তিনজনই।
Leave a Reply