সেই ঘটনার অবসানে রবিবার রাতে স্থানীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে তার সমাধান করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এই খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে পরবর্তীতে যেন এমনটা আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখার তাগিদ দিয়েছে সুধী সমাজ।
ঘটনার তিনদিনের মাথায় রবিবার রাতে হঠাৎ বিভাগীয় কমিশনারের আমন্ত্রণে তার সরকারি বাসায় বৈঠকে বসে সিটি মেয়র, স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিরা। ঐ বৈঠক শেষে হাস্বজ্জোল একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঐ বৈঠকে ভুল বোঝাবুঝি অবসান হয় বলে জানান নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তৃতীয় পক্ষ যাতে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে জল ঘোলা করতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক আছেন বলে জানান এই নেতা। বরিশালকে নান্দিক হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যমতে পৌছেছে জানিয়ে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেয় নগর ভবন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আসলে উভয়েরই ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। তারা তাদের বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছে। তারা আমাদের দাওয়াত দিলে আমরা সেখানে যাই। মামলা প্রত্যাহার করা হবে এবং জামিনের ব্যাপারটাও সহজ হবে। আমরা সমাধানের পথে আছি।’
এদিকে, এই খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে সুধী সমাজ। রাজনৈতিক নেতৃত্ব আর প্রশাসন বিপরীতমুখী থাকলে উন্নয়ন হয় না জানিয়ে, আধুনিক বরিশাল গড়তে সবাই একাট্টা হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
গত ১৮ আগস্ট রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ব্যানার অপসারণ নিয়ে বিরোধে জড়ায় আওয়ামী লীগ এবং সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমান। সেই ঘটনায় হামলা সংঘর্ষ এবং গুলিবর্ষণে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ক্ষমতাসীন দলের ৩০ নেতাকর্মী। পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করেন ইউএনও ও পুলিশ। যার পাল্টা হিসেবে রোববার বরিশালের আদালতে আবার ইউএনও মুনিবুরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের আবেদন করেন বিসিসির একজন প্যানেল মেয়র ও একজন কর্মকর্তা। এনিয়ে উত্তপ্ত হয় গোটা বরিশাল। আলোচনা সমালোচনার হয় দেশজুড়ে। তবে রাতের সমঝোতা বৈঠকের পর এসব জটিলতা কেটে যাবে এমনটাই মনে করছেন সবাই।
Leave a Reply