আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্টে্রট মাসুম বিল্লাহর আদালত এ সিদ্দ্বান্ত দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস।
জামিন প্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন উভয় মামলায় আসামি হওয়ায় মূলত জামিন পেয়েছে ৯ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
এর আগে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ২১ জন আসামির জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিজ্ঞ আদালত আবেদন পর্যালচনা করে ইউএনও মুনিবুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। তারা হলেন, আব্দুস ছালাম মনু, মো. ইফতিয়ার উদ্দীন এবং আলো গাজী। একই আদালত কোতয়ালী পুলিশের দায়ের করা মমলায় ৯ জনের জামিন দেন। তারা হলেন, মো. মমিন উদ্দিন কালু, কবীর তালুকদার, হুমায়ুন হাওলাদার, ইলিয়াস হোসেন, জমির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন। এদের বিরুদ্ধে অন্য মামলা না থাকায় যে কোন সময় এরা বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অন্যদের জন্যও আবার জামিন আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদক। উভয় মামলায় আসামিরা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট রাতের ঘটনার পর ১৯ আগস্ট ইউএনও এবং পুলিশ বরিশালের সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় ১৫০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ২২ আগস্ট এই একই আদালতে গ্রেপ্তারকৃত ১৮ আসামিন জামিনের আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর হয়। এর আগে বিবাদমান ঘটনায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ২২ আগস্ট রাতে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্ততায় উভয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক হয়।
Leave a Reply