এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে আইএইএ জানায়, ইয়ংবিয়ন নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, ওই কমপ্লেক্স থেকে শীতল পানি বেরিয়েছে। সাধারণত চুল্লির রিঅ্যাক্টর চালু থাকলে এমন পানি বের হয়।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি চালাতে হয়েছে আইএইএকে। তবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি সংস্থাটি। পর্যবেক্ষণ চালাতে হয়েছে স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবি থেকে। কারণ, ২০০৯ সাল থেকেই জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষক সংস্থাটির তদন্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার।
ওই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।
এদিকে মাথাব্যথার কারণ শুধু ইয়ংবিয়নের ওই চুল্লিই নয়। আইএইএ বলছে, একই নিউক্লিয়ার কমপ্লেক্সে একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টও বেশ কিছু সময় ধরে চালু রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশটির পিয়ংসান এলাকায় একটি ইউরেনিয়াম খনি এবং প্ল্যান্টেও গতিবিধি লক্ষ করা গেছে।
Leave a Reply