গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৮৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ১০৯ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৮৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৯৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে নারী ৪৯ জন এবং পুরুষ ৪৫ জন। এ সময় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। ২৭ জুন করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়ায়। এরপর তা বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন হয়েছিল গত ৫ ও ১০ আগস্টে।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। টিকাদান বাড়তে থাকায় মাসের শেষ দিকে এসে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তবে এখনই করোনা নিয়ে স্বস্তির কিছু নেই বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি বা সংক্রমণে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি, এমন অবস্থা যদি টানা দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে রাখা যায়, তবেই বলা যাবে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার ৭৪১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮১ জনের। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে।
এদিকে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ফ্রান্সে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১২১ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৬ জন। রোগী শনাক্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, ৪২ হাজার ৯০৯ জন।
এ সময় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুও হয়েছে ফ্রান্সে, ১ হাজার ৬৫৪ জনের। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৩৫২ জনের। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকোতে ৭৫৬ জনের।
Leave a Reply