অবশেষে ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির কর্তাদের ঘুম ভাঙল ম্যাচ শুরুর পর! ম্যাচ শুরু হয়ে যাওয়ার পর মার্তিনেজদের ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন দেশটার একাধিক স্বাস্থ্যকর্তা। এসেছিলেন বেশ কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাঁদের। শেষমেশ ড্রেসিংরুমে ফিরে যান আর্জেন্টাইন তারকারা। ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা কিছু বুঝতে না পেরে মাঠেই ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। ড্রেসিংরুমে ব্রাজিলের রাইটব্যাক দানি আলভেসের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় মেসিকে।
স্বাভাবিকভাবেই গোটা ব্যাপারটা ভালো লাগেনি আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনির। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁকে স্পষ্ট করে কিছু বলাই হয়নি, ‘আমাদের একটাবারের জন্যেও বলা হয়নি যে ওই চারজন খেলোয়াড়কে খেলানো যাবে না। আমরা ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। আমি জানি, ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরাও খেলতেই চেয়েছিল।’
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের জন্য গোটা ফুটবল বিশ্বই রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করে থাকে। এটা স্কালোনিও বোঝেন। শেষমেশ এমন একটা ম্যাচ আয়োজন না হওয়াটা ফুটবলেরই ক্ষতি বলে করছেন স্কালোনি, ‘ম্যাচটা সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই উৎসবের মতো ছিল। সবাই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে পেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হলো না। কোচ হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে আমার দায়িত্ব আমার খেলোয়াড়দের রক্ষা করা, আশাকরি আর্জেন্টিনার মানুষ সেটা বুঝবেন।’
এভাবে মাঠের মধ্যে ঢুকে খেলা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনি স্কালোনির, ‘ব্যাপারটা অনেক কষ্টের। আমি বলতে চাইনা এখানে কে দোষী আর কে না, তবে আমার মনে হয় না ম্যাচ ওভাবে পণ্ড করে দেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত ছিল। কনমেবল আমাদের বলেছে ওই চারজনকে নিয়ে খেলতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি তাঁরা আমাদের হোটেলেও আসেনি।’
এখন এই ম্যাচের ভাগ্যে কি আছে, কাকে জয়ী ঘোষণা করা হবে – সবকিছুই ফিফার হাতে।
Leave a Reply