নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমী হক সুলতানা পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪০২ ভোট, তার নিকটতম হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী পেয়েছেন চার হাজার ৫৭৩ ভোট।
তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মজিবর রহমান মোল্লা পেয়েছেন মাত্র ৩২৫ ভোট আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী লিয়াকত হোসাইন পেয়েছেন ৩২২ ভোট। তারা দুজনই জামানত হারিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৫১৪ ভোটারের মধ্যে ১০ হাজার ৬২২জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী অনেকের পছন্দের ছিল না। টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন নিয়েছেন তিনি। সে কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো দায়িত্বশীল নেতা তার পক্ষে কাজ করেনি।
পরাজয়ের কারণ জানতে আওয়ামী লীগের প্রাথী মো. মজিবর রহমান মোল্লাকে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে পরাজয় প্রসঙ্গে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকা বলেন, ‘মাদারীপুরের জনপদ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে আওয়ামী লীগের যত জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, সবটাতেই জয়ী হয়েছেন। কিন্তু এবার ইউপি নির্বাচনে এক প্রভাবশালী নেতার অনৈতিক বাণিজ্যের কারণে নৌকার পরাজয় হয়েছ। এতে আমরা আশাহত হয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তিনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
Leave a Reply