এ বিষয়ে আহত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, নিজ এলাকায় জমি নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় করা মামলায় বাকেরগঞ্জের দাড়িয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, তাঁর তিন ভাই ও এক বোন বুধবার দুপুরে বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাংবাদিকেরা এই খবর সংগ্রহ ও তাঁদের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে দুপুর ১২টার পর থেকে আদালত চত্বরে অবস্থান করেন। বেলা দুইটার দিকে আসামি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে যখন আদালতের গারদখানা থেকে বের করা হচ্ছিল, তখন সাংবাদিকেরা ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের প্রস্তুতি নেন। এ সময় শহিদুল ইসলামের লোকজন বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে তাঁদের ওপর চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালান। তাঁরা বাংলাভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানসহ দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন
এ নিয়ে আদালত চত্বরে উপস্থিত অন্য সাংবাদিকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে হামলাকারীরা আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর আবার হামলা চালান। এতে ২০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল হকের নেতৃত্বে অসংখ্য পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে হামলাকারী কাউকে আটক করেননি।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তাঁদের উপস্থিতিতেও আরেক দফায় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, হামলায় অন্তত ২০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যাঁদের মধে৵ ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী করণীয় কী হবে তা নিয়ে প্রেসক্লাবে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল হক বলেন, আদালত চত্বরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। যত দূর জানা গেছে, কয়েক দফা মারামারি হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
Leave a Reply