
বোর্ড সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসানকে মাঠে থাকতে হয়। সে সুবাদে দল নিয়ে উচ্ছ্বাস জানাতে চাইলে বিসিবি সভাপতিকে ফোন করে সেটা জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের মহাবিপদে নেমে তরুণ আফিফ ২৬ বলে ৫২ রানের ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস খেলেছিলেন। সে ইনিংস দেখে প্রধানমন্ত্রী বিসিবি সভাপতিকে ফোন করেছিলেন। সভাপতি বলেছিলেন, ‘আফিফের খেলা দেখে তিনি বললেন, ও আগে নামেনি কেন (সেদিন আট নম্বরে ব্যাট করেছেন আফিফ)? ওকে তো আগে দেখিনি।’

পরে আফিফের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথাও বলেছিলেন সভাপতির মাধ্যমে। চলমান আফগানিস্তান সিরিজেও প্রথম ম্যাচে মহাবিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। এবারও আফিফ ও মিরাজের অসাধারণ জুটি জয় এনে দিয়েছে দলকে। সে জয়ের পরই দলকে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে তুলনায় আজ বেশ দাপুটে খেলা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচও পুরোটাই দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভাপতি তেমনটাই দাবি করেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাঁচবার ফোন করেছেন। টিভির সামনে সারাক্ষণ বসে ছিলেন। যখন প্রথম ফোন করেছেন, তখন বলেছেন, খুবই ভালো খেলছে। সেঞ্চুরির (লিটনের) পরও আমাকে ফোন করেছেন। লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সময়টাতেও বেশ আগ্রহ নিয়ে ম্যাচ দেখেছেন। ম্যাচের মীমাংসা বহু আগেই হয়ে গিয়েছিল, তবে এর মধ্যেও ৪৫তম ওভারে দারুণ এক মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান। তাঁর চোখধাঁধানো ক্যাচেই আফগানিস্তানের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান আফগানিস্তানের মুজিব উর রেহমান। প্রায় ছক্কা হয়ে যাচ্ছিল মুজিবের শট। সেটা বুদ্ধির সঙ্গে আটকেছেন বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান। তারপর আবার ফিরে এসে ক্যাচ ধরেছেন। সে মুহূর্তও দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘পরে যখন ফোন করলেন, বলেছেন, কষ্ট করে ক্যাচ ধরল ওর নামটা কী? ওকে তো আমার পুরস্কার দিতে হবে। এত সুন্দর ক্যাচ ধরেছে। মানে তিনি পুরোটা সময় খেলা দেখেছেন। দারুণ উপভোগ করেছেন।’
Leave a Reply