মঙ্গলবার গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে একথা বলেন তিনি। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জোটপ্রধান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে শেখ হাসিনা, বিএনপির নেতৃত্বের সংকটের কথা তুলে ধরে ক্ষমতায় গেলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে প্রশ্ন রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে সংলাপে ডাকলেন। গেলাম। কিন্তু বিএনপি যায়নি। তারা আসলে যাবেই-বা কী? তারা ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দেবেন? একজন হচ্ছেন এতিমের টাকা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আরও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক।
এসময় নিত্যপণ্যের দাম বাড়া প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বাড়লে কিছুই করার থাকে না। তবে রোজার সময় দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে আমরা একটা কাজ করছি, এক কোটি মানুষকে স্পেশাল কার্ড দিয়ে দেবো। সেই কার্ড দিয়ে ন্যায্য মূল্যে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস কিনতে পারবে। যে ৩৮ লাখ লোককে আমরা টাকা দিচ্ছি, সেটা তো থাকবেই। সেটা ধরে আমরা এক কোটি লোককে এটা দেবো। এছাড়া ৫০ লাখ লোককে একটি কার্ড দেয়া আছে তা দিয়ে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা আছে। ওই ৫০ লাখ এর সঙ্গে আরও এক কোটি লোককে আমরা বিশেষ কার্ড দেবো, যা দিয়ে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারে।
এছাড়া সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন।
Leave a Reply