জানা যায়, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র টানা তিনবারের মতো নির্বাচিত হন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। প্রায় ১৫ বছর আগে দেড় কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নিয়ে পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
এরপর ঠিকমতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি। তার সময়সহ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দাঁড়ায় ১৮ কোটি টাকা। দেনদরবার করেও বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারেনি নেসকো। পৌর কর্তৃপক্ষ এক টাকাও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি। এতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো দিনাজপুর-১ ও দিনাজপুর-২ একাধিকবার নোটিশ প্রদান করেন। এর পরও পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল পরিশোধ করেনি। ফলে গত মঙ্গলবার পৌরসভা কার্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয় তারা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল জানান বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করায় পৌর ভবন অন্ধকারে রয়েছে। পৌরসভার টিকা, জন্ম নিবন্ধনসহ সকল সেবা বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে।
পৌরসভার হেপাটাইসিস বি-র টিকা কর্মী নার্গিস বেগম জানান, দিনাজপুর পৌরসভায় চার হাজার করোনার ভ্যাকসিনসহ হেপাটাইসিস বি-র টিকা রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাকসিন ও টিকাগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
দিনাজপুর পৌরসভার সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে বসে রয়েছি। তবে কত টাকা বকেয়ার জন্য বিদ্যুৎ লাইন কাটা হয়েছে তা জানা নেই। ’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো দিনাজপুর-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘বকেয়া বিলের জন্য পৌর ভবনের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তার ধারে খুঁটির লাইন বিচ্ছিন্ন করিনি। ’
Leave a Reply