বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বুধবার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যাত্রী হিসাবে এটির উদ্বোধন করবেন।
২০১২ সালের নেয়া এই প্রকল্প প্রায় ১০ বছর পর আংশিক এবং সীমিত আকারে চালু হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরেও সরকারের আরও বেশ কয়েকটি মেট্রো লাইন তৈরি প্রকল্প নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার, যা পুরোপুরি কার্যকর হলে ঢাকার ভয়াবহ যানজটের সমাধান হবে বলে তারা আশা করছে।
কিন্তু সেসব মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?
মেট্রোরেলের একটি রুট আংশিকভাবে চালু হবে বুধবার।
সেটি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সীমিতভাবে চলাচল করবে। যাত্রী নিয়ে অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবে এটা শুরু করা হচ্ছে।
তবে মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে ঢাকায় গণপরিবহনের ভোগান্তি আর যানজটের শিকার সানজিদা আক্তারের মতো অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
ব্যাংকার সানজিদা আক্তার বলছিলেন, ‘’মেট্রোরেলের জন্য আমরা মিরপুরবাসী তো অনেক কষ্ট করেছি। অবশেষে সেটা চালু হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। আশা করি, এখন যেভাবে মিরপুর থেকে ফার্মগেট, মতিঝিল যেতে অনেক সময় লাগে, পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে সেই সময় কমে আসবে। আসলে কী হয়, সেটা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।‘’
ঢাকায় মেট্রোরেল তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। ১০ বছর পর আংশিকভাবে সেটা চালু হচ্ছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত অংশের কাজ ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল সিস্টেম, রেলকোচ ও ডিপোর সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
তবে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশের কাজের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে গত মাসে।
আরেকটি অগ্রাধিকার প্রকল্প এমআরটি লাইন-১ দুটি অংশে হওয়ার কথা। একটি বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত হয়ে কমলাপুর যাবে। অন্যটি যাবে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলে।
কিন্তু সবেমাত্র এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে।
গত মাসে নির্মাণ কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
Leave a Reply