স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে বিলটি উত্থাপনের আগে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, এই বিলটি আনা হলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম আরো বাড়বে। তার প্রতিক্রিয়ায় বাড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে বাড়বে জন দুর্ভোগ। কমবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের ক্ষমতা ও মূল্য সমন্বয়ে জনগণের অধিকার।
জবাবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দীর্ঘ সূত্রিতার তিক্ত অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মূল্য সমন্বয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন হয়েছে ২২ সালের অক্টোবরে। এরমধ্যে বিশ্ব বাজারে আরো মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও তা সমন্বয় করতে রাজি হয়নি কমিশন। এতে ভর্তুকি বেড়েছে। এভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ গ্যাস বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয় না। তাই অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখতে ও ভর্তুকি কমাতে দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
এরপর বিলটি উত্থাপনে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রণীত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইনটি এরমধ্যে তিনবার সংশোধন হয়েছে। প্রথম সংশোধনী গৃহীত হয় ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় সংশোধনী গৃহীত হয় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয়টি ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের ট্যারিফ সমন্বয় করা প্রয়োজন। অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখার স্বার্থে নিয়মিত ও দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিইআরসি’র পাশাপাশি সরকারের ক্ষমতা সংক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি জরুরি বিবেচনায়, বর্ণিত বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।
Leave a Reply